স্টিফেন হকিং: মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনের যাত্রা

               প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা


স্টিফেন হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফ্রাঙ্ক হকিং এবং মা ইসাবেল হকিং ছিলেন। হকিংয়ের পরিবার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছিল, যা তার বৈজ্ঞানিক আগ্রহকে উসকে দেয়। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পড়াশোনা করেন এবং পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরেটিক্যাল কসমোলজি নিয়ে অধ্যয়ন করেন।

              গবেষণার শুরু এবং থিওরি


কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন, হকিং তার প্রাথমিক গবেষণার জন্য পরিচিতি লাভ করেন। তার গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল ব্ল্যাক হোলস এবং মহাবিশ্বের বিস্তার। ১৯৬৫ সালে তার গবেষণার ফলস্বরূপ, হকিং এবং রজার পেনরোজ ব্ল্যাক হোলের বিবর্তনের উপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন।

                   রোগ নির্ণয় এবং লড়াই


১৯৬৩ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, হকিংকে আমাইলোট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (এলএস) নামে একটি মারাত্মক রোগ নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসকরা তাকে মাত্র দুই বছরের সময় বেঁচে থাকার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে হকিং তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তার গবেষণায় মনোনিবেশ করেন।

       হকিং রেডিয়েশন এবং বৈজ্ঞানিক অবদান


হকিং তার ব্ল্যাক হোল থিওরি সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেন, যা পরবর্তীতে হকিং রেডিয়েশন নামে পরিচিত হয়। তার এই আবিষ্কার মহাবিশ্বের বিবর্তন এবং ব্ল্যাকফেলেছে।

                জনপ্রিয় বই এবং গণমাধ্যম


স্টিফেন হকিং তার জনপ্রিয় বই অ্যাটলাস অফ দ্য ইউনিভার্স এবং অ্য শোর্ট হিস্ট্রি অফ টাইম এর মাধ্যমে সাধারণ পাঠকদের জন্য জটিল বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলি সহজভাবে ব্যাখ্যা করেন। তার বইগুলি বিশ্বজুড়ে বেস্টসেলার হয়েছে এবং বিজ্ঞানের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করেছে।

          বিজ্ঞান এবং সমাজের সাথে সংযোগ

হকিং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন বক্তৃতা দিয়েছেন। তার বক্তব্যগুলি বিভিন্ন মিডিয়াতে সম্প্রচারিত হয়েছে এবং তিনি বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

                     পুরস্কার এবং সম্মাননা


১৯৭৯ সালে হকিংকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করা হয়, যা একটি অত্যন্ত সম্মানজনক পদ। ১৯৮২ সালে, হকিংকে রাজার অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করা হয় এবং ১৯৮৫ সালে রাজার পদে নিয়োগ পান।

               মৃত্যুবরণ এবং উত্তরাধিকার


২০১৮ সালের ১৪ মার্চ, স্টিফেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু বিজ্ঞানের জগতে একটি বড় ক্ষতি ছিল, কিন্তু তার গবেষণা এবং চিন্তাভাবনা আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অমূল্য অবদান রেখেছে। তার জীবনের উজ্জ্বলতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার গভীরতা সবসময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

এরকম বিষয়ে আরো জানতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন। এই ওয়েবসাইটের উপরে দেখবেন থ্রি ডট মেনুতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যেমন : মজাদার রূপকথার গল্প, সাফল্যের জন্য উক্তি, বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী, হেলথ টিপস, বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে মুসলিম ছেলেদের আরবি নাম, ইসলামে খুঁটিনাটি বিষয় ইত্যাদি। ওয়েবসাইটের লিংক https://www.mahadistoryworld.com/


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
whatsapp" viewbox="0 0 512 512" stroke="none" fill="currentColor">